বাজার মূল্যের চাইতে অধিক কম মূল্যে কৃষক থেকে ধান ক্রয় করতে চায় সরকার। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কৃষক সমাজ।
খোলা বাজারে ধানের বাজার মূল্য মন প্রতি ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা আর সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১১৪০টাকা। আবার এই দামেই ধান পৌঁছে দিতে হবে সরকারি গুদামে। ধানের পরিবহন খরচও চাপিয়ে দেয়া হয়েছে কৃষকের ঘাড়ে। এ যেন কৃষক মেরে ধানের গোলা ভরতে চায় সরকার।
মিরসরাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সামছুন নাহার স্বর্ণা জানান, গত ২৫ নভেম্বর খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ধান সংগ্রহের নির্দেশনা মূলক একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ১ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ দিয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য উপজেলা খাদ্য গুদাম পর্যন্ত পৌঁছান ধরা হয়েছে ২৮টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে ধানের মূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে রাজি নয়। তাই মিরসরাই উপজেলায় ধান সংগ্রহের যে লক্ষ মাত্রা মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন কোন প্রকারেই সম্ভব নয়।
নাছির উদ্দিন নামে এক কৃষক জানান, বর্তমানে খোলা বাজারে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে। এই দামে কৃষকরা খুশি। এতে তাদের খরচ বাদ দিয়ে কিছু টাকা হাতে থাকছে। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত দামে কৃষকের লাভ তো দুরের কথা খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হবে। সরকার কৃষক মেরে ধানের গোলা ভরতে চায়। তার উপরে সরকারি গুদামে ধান পৌঁছে দিতে হবে। তাই আমরা খোলা বাজারেই ধান বিক্রি করছি।
মিরসরাই কৃষি কর্মকর্তা রঘু নাথ নাহা জানান, মিরসরাইয়ে এবার ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে। ধান পুরো দমে এখনো কাটা হয়নি। তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় কৃষক ভালো দাম পাচ্ছেন। সরকারি নির্ধারিত দাম পুনঃ বিবেচনা করার সুযোগ আছে। আমরা সরকারকে মাঠের বাস্তব অবস্থা অবগত করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয়ের চিঠির ব্যাপারে আমি এখনো অবগত নই। তবে বাজার মূল্য থেকে সরকারি ক্রয় মূল্য যদি কম হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা মন্ত্রণালয়কে একটা চিঠি লিখতে পারি মূল্য পরিবর্তনের জন্য।
এসএম