কোচিং সেন্টারে না পড়ায় পরীক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ১০:৫৩ এএম

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় কোচিং সেন্টারে না পড়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বেখৈরহাটি বাজারে নির্মাণ কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড কোচিং সেন্টার নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলেছেন স্থানীয় যুবক সোহেল রানা ও ভাদেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জুয়েল মাস্টার। বাজারের পাশেই রয়েছে শতবর্ষী ‘বেখৈরহাটি নরেন্দ্র কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়।’ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে পড়তে বাধ্য করতে নানান প্রলোভন ও অনৈতিক কাজের আশ্রয় নেন পরিচালকরা। এ নিয়ে কোচিং সেন্টারের পরিচালক সোহেল রানা ও শফিকুল ইসলাম জুয়েল মাস্টারের সঙ্গে বেখৈরহাটি নরেন্দ্র কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক উজ্জ্বল মিয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ফাঁস হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনিসুজ্জামান বলেন, আমি ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। আমাকে নানাভাবে চাপ দেয়ার পরেও ওই কোচিং সেন্টার ভর্তি হয়নি। আমাদের বিদ্যালয় উজ্জ্বল স্যারের সহায়তা আমাকে ফেল করানো হয়। যা অডিওতে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

কোচিং সেন্টারের পরিচালক সোহেল রানার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে অডিও কথোপকথনের কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েকদিন আগে সরিষা গ্রামের সোলায়েমান মিয়া ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সানিকে কোচিং সেন্টারের ভর্তি করাতে গিয়ে বেখৈরহাটি নরেন্দ্র কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক উজ্জ্বল মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেই কথাগুলো সে ভাইরাল করছে। আসলে ছাত্রদের ফেল করানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফাঁস হওয়া অডিও এর কথা তাদের স্বীকার করে বেখৈরহাটি নরেন্দ্র কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক উজ্জ্বল মিয়া জানান, আমি কোচিং সেন্টারের কেউ না। আর বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে আমার কোনো দ্বায়িত্বও থাকে না।

এ ব্যাপারে ইউএনও কাবেরী জালাল জানান, অভিযোগ দিয়ে গেলে হয়তো ডাক ফাইলে আছে। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএস