নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক ভেঙে এখন বেহাল অবস্থা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে যেতে ছোয়াখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ধসে পড়েছে। সেতু থেকে নামার বাজার পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশের প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থা। বেশ কয়েকটি জায়গায় আরসিসি ঢালাইয়ের নিচ থেকে মাটি সরে সড়ক ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় শুধু পর্যটক নয়, চরম দুর্ভোগে আছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় জনগণ।
এদিকে পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ভেঙে পড়া সেতুর পাশে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিলো কাঠের সাঁকো। এখন সেই কাঠের সেতু ভেঙে যাবার পর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে সেই প্রধান সড়কে ভেঙে যাওয়া স্থানটি। কিন্তু নিচু জায়গা হওয়ায় কাদা মাটিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনগণকে।
মোঃ আজগর হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বর্ষাকালে বার বার প্রবল জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এরপর কিছু দিন নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার হলেও যানবাহন ও মালামাল পারাপারে অসুবিধা হতো। এখন পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করার পর ও চরম দুর্ভোগে আছে জনগণ।
নিঝুম দ্বীপের স্থানীয় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ দিনাজ উদ্দিন বলেন, বেহাল সড়কের কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, উদ্যানের প্রবেশ মুখের প্রধান সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসকে জানিয়েছি। উনি এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো সাজ্জাদুল ইসলাম আমার সংবাদকে জানান, আর সি সি দিয়ে ঢালাই করায় সেতুটির পূর্ণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে এর পূর্বের কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে চিঠির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর কোন সফল পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ১৪ বছর পূর্বে নিঝুম দ্বীপের এই প্রধান সড়কটি তৈরি হয়েছিলো।
কেএস