চট্টগ্রাম যুবমৈত্রী কোতোয়ালি থানার উদ্যোগে পাথরঘাটাস্থ মহিলা কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ৭১` এ আত্মদানকারী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করার মধ্যে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেন।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা কোতোয়ালি থানা যুবমৈত্রীর সিনিয়র সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অরণ্য অনিমেষ, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা যুবমৈত্রীর সভাপতি আবুল মনসুর,উপস্থিত ছিলেন থানা যুবমৈত্রীর সহসাধারণ সম্পাদক রানা ধর, প্রচার সম্পাদক কালাম আজাদ, যুবনেতা মোস্তফা দুলাল, নুরুল হক, মোঃ শাহআলম, মোঃ সালমান, মোঃ আবেদ হোসেন, মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোঃ সিয়াম প্রমূখ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, পরাজিত নিশ্চিত জেনে মুক্তিযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ৭১` সালের এ দিনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করতে দেশীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক-হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করে- যা বিশ্ব পরিমন্ডলে গণহত্যা রূপে প্রকাশ পায়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাহাত্তরের সংবিধানের আবরণে এদেশে যখন মুক্তিকামী মানুষ ধীরে ধীরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে নিয়োজিত হয় তখন একের পর এক ক্যু-পাল্টা ক্যুর মাধ্যমে বার বার বাহাত্তরের সংবিধানকে ব্যবচ্ছেদ এবং ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে ঐ পরাজিত শক্তি এদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে দেখা গেছে-যা আজো চলমান। এহেন ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নূতন প্রজন্ম গড়ে তুলতে যুব-সমাজকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।
বেকার যুবগোষ্ঠির সঠিক কর্মসংস্থানের রূপরেখা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতি-মাদক-সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনায় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গুণে ধরা সমাজে আলোকবর্তিকা হতে হবে।
কেএস