১৯ ডিসেম্বর ভৈরব মুক্ত দিবস

ভৈরব প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৬:৪৯ পিএম

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্ত হলেও কিশোরগঞ্জের ভৈরব মুক্ত হয় ১৯ ডিসেম্বর। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে বন্দরনগর ভৈরবে পাক হানাদার বাহিনী অসংখ্য নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ বনিতাকে নির্বিচারে হত্যা, মা-বোনদের ইজ্জত লুট ও ভৈরব বাজার ও গ্রামগুলোকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি। অবশেষে তারা মিত্র বাহিনী ও ভৈরবের দামাল ছেলেদের হাতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

পাক হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের সারা দেশের ন্যায় ভৈরবেও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের দোসর আলবদর, রাজাকার ভৈরব বাজারের তিন ভাগের দুই ভাগ জ্বালিয়ে এবং ব্যব্সায়ীদের সিন্দুক ভেঙ্গে টাকা পয়সা ও মালামাল লুট করে এবং ভৈরবের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ধরে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতুর পূর্ব পাশে একটি ও পশ্চিম পার্শে দুটি স্পেন ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে মিত্র বাহিনীর অগ্র যাত্রাকে ব্যহত করার প্রয়াস চালায়। ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদারদের প্রধান জেনারেল নিয়াজী তার দলবলসহ আত্মসমর্পণ করলেও ভৈরব পাক হানাদার বাহিনী সেই খবর পায়নি।

এর ফলে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাক হানাদারদের সাথে ছোট খাটো সংঘর্ষ চলতে থাকে ভৈরবের মুক্তিযোদ্ধাদের। ১৯ ডিসেম্বর পাক হানাদারদের হাই কমান্ডের নির্দেশ পাওয়ার পর আত্মসমর্পণের পূর্ব মহুর্তে তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের রক্ষিত টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে ডিনামাইট দিয়ে মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়। এছাড়াও আবাসিক এলাকার ঘর-বাড়িতে লুটপাট চালায় তারা।

১৯ ডিসেম্বর তারা  আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এভাবে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি এবং ভৈরবের মানুষ পাকিস্তানি পতাকাকে পদদলিত করে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। স্বাধীনতার মুক্তির স্বাদ লাভ করে। ভৈরবের মানুষ প্রতি বছরই এ দিনটিকে শ্রদ্ধা ভরে স্মারণ করে।

এআই