করলা চাষ করে সফল মান্দা’র জামাল

নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৬:৩৯ পিএম

নওগাঁয় এই সময়ে এবার করলা, তিতা হলেও চাষে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় শত শত কৃষক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আর এই করলা মান্দায় সবচেয়ে বেশি চাষ ও বিক্রি হয় রাজশাহীর মোহনপুরে। বেশি ফলনের পাশাপাশি ব্যয়ও অপেক্ষাকৃত কম। তাই অল্প সময়ে বেশি লাভের কারণে করলা চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক পরিবার। করলার মৌসুম শেষের দিকে। নিজের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন তা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এ করলা চাষ যেন নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে মান্দা উপজেলার কয়েক গ্রামের কৃষক। সবুজ আর হলুদে ভরে উঠেছে মান্দা উপজেলার বালিশ, কুসুম্বা, ছোট্ট মুল্লুক, দেলুয়াবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের করলার খেতে।

এসব করলার বেশির ভাগই রানীপুকুরি জাতের। করলা চাষ করে হাসি ফুটেছে ওইসব গ্রামের অনেক কৃষক পরিবারের মুখে। প্রতিদিন ওইসব গ্রাম থেকে শত শত মণ করলা ট্রাক-টেম্পোযোগে রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। করলাকে কেন্দ্র করে মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বালিচ গ্রামের রাস্তার পাশে পাইকারি বাজার বসে। পাইকাররা প্রতিদিন ২-৩ ভুটভুটি করলা ক্রয় করেন।

মান্দার বালিচ গ্রামের কৃষক জামান জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে এবার করলা চাষ করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন এবং আরও ১ লাখ টাকার অধিক করলা বিক্রি করতে পারবেন।

জয়বাংলা গ্রামের কৃষক রইচ আলী জানান, তার ৬০ শতক খেতের করলা চাষে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আর এ পর্যন্ত ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন আরও ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারবেন। খেত থেকে পাইকারি দরে ক্রয় করে রাজশাহী সরবরাহ করে স্থানীয় ছাবেদ আলী। তিনি জানান, এখন কৃষকের কাছ থেকে ৭০০-৮০০ টাকা মণ ধরে করলা

কিনে রাজশাহী ও ঢাকায় বিক্রি করছি ১০০০-১২০০ টাকা মণ দরে। মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে করলা চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার মান্দা উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১২/১৪ মেট্রিক টন করলা উৎপাদিত হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

এসএম