আগামী মাস থেকে পদ্মা সেতুতে চলবে না ২৭ টনের বেশি যানবাহন। উদ্বোধনের পর থেকেই পদ্মা সেতুতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে যানবাহন। এর লাগাম টানতে দু`প্রান্তেই শেষ হয়েছে ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত ওজন পরিমাপের ওয়েস্কেল বসানোর কাজ। ডিজিটাল এই পদ্ধতিতে দাঁড়াতে হবে না কোনও গাড়িকে। চলতি পথেই হবে ওজন পরিমাপ।
নির্ধারিত ২৭ টনের বিধিনিষেধ মানে না অনেকেই। অনিয়মের লাগাম টানতে টোল প্লাজার সামনে ৩টি আলাদা লেনে বসানো হয়েছে ডিজিটাল ওয়েস্কেল। ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত লেনের নির্মাণ শেষে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক মোশন ক্যামেরা। সিগনাল বাতি, ডিজিটাল ডিসপ্লে, ডিভাইডার সাইন বসানোর কাজও শেষ।
শ্রমিকরা জানায়, গাড়ি ঢোকার এবং বের হওয়ার রাস্তা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ওজন মাপার মেশিনও বসিয়েছি তারা।
২৭ টন পর্যন্তু ওজনের যানবাহন টোল পরিশোধ করে গ্রিন জোন দিয়ে পার হবে পদ্মা সেতু। এর বেশি হলে রেড জোন দিয়ে যেতে হবে স্টকইয়ার্ডে। তারপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে হবে বাড়তি ওজনের পণ্য।
একজন ট্রাক ড্রাইভার জানান, রাস্তার দুপ্রান্তেই আমার ট্রাকের ওজন মাপা হয়েছে। এমনকি কত স্পিডে চালাচ্ছি তাও মেশিনে ওঠে।
ওয়েস্কেলের সঙ্গে সংযোগ সড়ক নির্মাণও শেষের পথে। আসছে জানুয়ারি থেকেই এ পদ্ধতি চালুর আশা কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, ওয়েস্কেল বসানোর কাজ শেষ। ভালোমতো মনিটরিং শেষে আগামী জানুয়ারিতে চালু হবে এটি।
৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্কেল বসানোর কাজ করছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে।
কেএস