গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৪:০৪ পিএম

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। নাহিদুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিশাদ বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। তাছাড়া স্থানীয় জনগণও ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এ সব কারণে আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলাম।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেটা গত ১২ অক্টোবরে করতে পারেনি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোর-জবরদস্তি, হুমকি-ধমকি ও মারপিট করেছে। সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেরাই ভোট দিয়েছে। আমার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের ওপর আক্রমণসহ নানা অপকর্মের সাক্ষী হয়েছে সাঘাটা-ফুলছড়িবাসী। চিহ্নিত ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। সুতরাং কমিশন ফের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে আবার প্রহসন করতে চাচ্ছে। আমি আমার জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ারও দাবি করছি।

গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অভিযোগ উঠায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাঘাটার জুমাড়বাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল, জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।

কেএস