রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে কেবল ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভোটের প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার চিঠি ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের কারিগরী সদস্যরা ব্যতীত অন্য কেউ ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ওই কর্মকর্তারাও নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রয়োজন ব্যতিরেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।
নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৬০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে নয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে নয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস- এর আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এ সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
রসিকের ৩৩ ওয়ার্ডের দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
কেএস