নীলফামারীতে কির্ত্তনীয়া পাড়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫টি পদে নিয়োগ পরিক্ষার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নিয়োগের ৫টি পদবি হচ্ছে অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি (একজন), কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর (একজন), অফিস সহায়ক (একজন), নিরাপত্তাকর্মী (একজন), আয়া (একজন)।
গত ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সাড়ে ৮টায় নিজ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা নেয়ার কথা কাগজে কলমে থাকলেও গোপনে স্থানীয় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে পরিক্ষা কেন্দ্র বানিয়ে তড়িঘড়িভাবে নিয়োগটি নিয়ে, ভুয়া পরিক্ষা কেন্দ্র থেকেও সড়ে পড়েন নিয়োগ বোর্ডে সভাপতি, প্রধান শিক্ষকসহ কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে কির্ত্তনীয়া পাড়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৯.২০ মিনিটে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে কোন নিয়োগ পরিক্ষা হয়নি। এসময় বিদ্যালয়ের পিওনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে আজ কোন নিয়োগ নাই, এখানে কোন নিয়োগ পরিক্ষা হয় নাই। পরে দেখা যায় সকাল সাড়ে ১১টা পযর্ন্ত বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষ তালা ঝুলছিল এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। তার কিছুক্ষণ পরে বিদ্যালয়ে দু-তিন জন শিক্ষক আসলে তাদের কাছে পতাকা উত্তোলন এখনো হয়নি।
অফিস কক্ষে তালা ঝুলছে ও নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন সহকারি শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা হচ্ছে আমি বা আমরা জানিনা। উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আপনাদের মুখেই প্রথম শুনলাম নিয়োগ পরিক্ষা হচ্ছে, তারা অবাক হয়ে যান।
এ বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আশরাফী বলেন, আমি কোন বক্তব্য দেব না, ঐ স্কুলে গিয়ে নেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আলী শাহরিয়ার বলেন, আমার বলা যাবে না অন্য বিদ্যালয়ে পরিক্ষার কেন্দ্র করে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে তবে নিয়োগ পরীক্ষাটি গোপনে করেছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, বিদ্যালয়ে নিয়োগ হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়মের বিষয় টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপনে নিয়োগ পরিক্ষা হয়েছে এটি আমিও শুনেছি, নিয়োগ কমিটি নিয়োগ পরীক্ষাটি কখন কোথায় হবে এ বিষয়ে আমাকে কোন কিছু জানাইনি।
কেএস