দিনাজপুরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

দিনাজপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম

দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় এক আইনজীবীর বাড়িতে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী স্ত্রীর জোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী মজিবর রহমানকে ফাঁসি লাগানো এবং স্ত্রী  সুরাইয়া বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে তাদের হত্যা করা হয়েছে।  

৯৯৯ নাইনে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এঘটনার রহস্য উম্মোচনে সিআইডির ক্রাইম সিনের ফরেনসিক বিভাগ এবং পিবিআইয়ের সহায়তা নিয়েছে থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায় ঢাকায় বসবাসরত ফাতেমা বীথির বাড়ির মালিক এ্যাডভোকেট নীলুফার রহিম পুলিশের জরুরী সেবা সার্ভিস ৯৯৯ এ তার বাড়িতে কিছু একটা ঘটেছে বলে অভিযোগ জানান। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে  ওই বাড়িতে (ফাতেমা বীথিতে) গিয়ে স্বামী স্ত্রীর লাশ দেখতে পায় কোতয়ালী থানা পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। দুজনের মধ্যে শয়ন কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে স্বামী মজিবর রহমানের লাশ। তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে পাশের রান্না ঘরে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বিরল উপজেলার বটেরহাট গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা মহল্লার অধিবাসী।

এব্যাপারে তাদের একমাত্র সন্তান ইজিবাইক চালক সিরাজুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বাড়ির মালিক এডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন মোবাইলে তাকে বাবা মার মৃত্যুর খবর জানান।

বাবা মার মৃত্যুর খবর শুনে শোকে মুহ্যমান ছেলে সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে ঘটনাস্হল ফাতেম বীথিতে কর্মরত রয়েছেন তার পিতা মজিবর রহমান। তবে পিতা মাতার পরিনতির বিষযে কোন ধারনা করতে পারছেনা সে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম জানিয়েছেন, ফরেনসিক এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর জোড়া লাশের রহস্য জানা যাবে বলে আশা করছেন তারা। তবে তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখছেন তারা।

রহস্য উদঘাটনে সিআইডির ক্রাইম সিনের ফরেনসিক বিভাগ এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো পিবিআইয়ের সহায়তায় আলামত সংগ্রহ শেষে লাশের সুরহতাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তে লাশ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরন করেছেন তারা। 

টিএইচ