তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের গলিত মরদেহ উদ্ধার

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ঝুম্মনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (এসিআই গেইট) সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত কেরেছেন।  

নিহত রুবিনা আক্তার (২২) কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে এবং মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর উপজেলার কুদ্দুসের ছেলে ঝুম্মন মিয়ার স্ত্রী। মায়ের মরদেহের পাশ থেকে ছেলে জিহাদের (০৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঝুম্মন মাওনা এলাকায় ভাড়া থেকে রঙ্গীলা বাজারে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতো।  

রুবিনা আক্তারের বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝুম্মন ও তার মাবাসহ আত্মীয়-স্বজন শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে বিভিন্ন কাজ করে আসছে। গত ৫ বছর আগে ঝুম্মন রুবিনাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রুবিনা তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। গত ৪ দির যাবত রুবিনা ও তার চার বছর বয়সী ছেলেকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনেরা। মা-ছেলে নিখোঁজের সপ্তাহখানেক আগে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। বাড়ির চারপাশে টিনের বেড়ার গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে স্বজনেরা ধারণা করেছিল রুবিনা ছেলেকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রুবিনার ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরে অপর পাশ দিয়ে বাড়িতে ঢুকে তাদের বসত ঘরের দরজায় তালা লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনেরা। ছোট বোন সেলিনা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মা-ছেলের গলিত মরদেহ দেখতে পায়।        

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, মরদেহ গলিত অবস্থায় থাকায় সুরতহাল করে কোনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না। মরদেহের পাশেই একটি বিরানীর প্যাকেট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সাথে কেউ কোনো কিছু মিশিয়ে তাদেরকে হত্যা করতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।

কেএস