জেলা পরিষদের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ০১:২৪ পিএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জেলা পরিষদের কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে নির্বিঘ্নে পাকা স্থাপনা ও বহুতল ভবন নির্মণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। তবে এসকল জমি দখলের নেপথ্যে সহযোগিতা করার গুঞ্জন রয়েছে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উৎপল কুমার ও উচ্চমান সহকারি বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার ৯নং সাপলেজা ইউনিয়ন বাজারের আলিশ্যার মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, জেলা পরিষদের জমিতে মজবুদ পাইলিং দিয়ে অর্ধশতাধিক পাকা স্থাপণা ও বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং বহু স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। এদের সাথে কথা বলতে গেলে দাম্ভিকতা দেখিয়ে কথা বলা তো দুরের কথা, নামও বলতে চায়নি।

তবে প্রবাসী জাকির হোসেনর স্ত্রী তানিয়া, মামুন হাওলাদারের স্ত্রী হাফিজা বেগম জানান, জেলা পরিষদ থেকে তারা ডিসিআর নিয়েছেন। ডিসিআরকৃত জমিতে বহুতল ভবনের অনুমতি কি জেলা পরিষদ দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা বজলুর রহমান ও উৎপল কুমার মাঝে-মাঝে আসেন তারা সব জানে। প্রবাসি জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী কোন কথা বলতে বা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ উচ্চমান সহকারি বজলুর রহমান জোগসাজগের কথা অস্বীকার করে বলেন, একবার নিষেধ করে আসছি। আবার কাজ শুরু করলে নোটিশ দেযার ব্যবস্থা করবো। আমার কোন বক্তব্য ব্যবহার করবেন না। সার্ভেয়ারের সাথে কথা বলুন।

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার উৎপল কুমার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমবার (৯ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খানম বলেন, বিষটি আইম সবেমাত্র জেনেছি। ডিসিআর যাচাই করা হবে। ডিসিআর থাকলেও পাকা স্থাপণা করার সুযোগ নেই। কেউ অবৈধ স্থাপণা করলে শিঘ্রই তা ভেঙে দেয়া হবে।

সচেতন মহল মনে করেন, এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ, রাজনৈতিক প্রভাব ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে সরকারি সম্পত্তি প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে। বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজেও জানেন না পরিষদের সম্পদের পরিমাণ কত।

কেএস