কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও ৪ কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছে সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। অস্ত্রের মুখে এসব কৃষককে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।
রোববার (৮ জানুয়ারি) ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকা থেকে এসব কৃষককে অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আব্দু সালাম, গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, রাজা মিয়ার ছেলে মুহিব উল্লাহ ও রাজা মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, অপহৃত আব্দু সালামের ছোট ভাই মুন্সী রফিক তাকে ফোনে অপহরণের তথ্য জানানোর পর তিনি এখন (দুপুর ২ টায়) ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। স্বজনরা জানিয়েছে রাতে পাহাড় থেকে বন্য হাতির দল ভুট্টা ক্ষেতে এসেছিল। তাদের পাহাড়ের দিকে তাড়িয়ে দিয়ে টং ঘরে এসে ঘুমিয়ে ছিলেন কৃষকরা। সেখান থেকে ১৫-২০ সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মূখে অপহরণ করে নিয়ে যায় তাদের। ক্ষেতে রক্তের দাগও দেখা যাচ্ছে।
তিনি জানান, পাহাড় ঘীরে সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। এর আগেও অনেককে অপরহরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে।
টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন মজুমদার বলেন, পরিবারগুলোর কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওসি আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলের আশে-পাশে অভিযান শুরু করেছে।
এর আগে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩ দফায় ১২ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছিল। যারা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছিলেন। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। যারা ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৩ দিন পর ছাড়া পেয়েছিলেন।
কেএস