দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হাড় কাঁপানো শীত, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো নেমে আসা কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। গত ৪ দিন ধরে এই জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসের ঝাপটা শীতের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ১ নটস।
এর আগে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে মঙ্গলবার তাপমাত্রা কম হলেও সকাল ৮ টার মধ্যে সূর্য উঠেছে। ফলে কম তাপমাত্রাতেও মানুষের মধ্যে স্বস্তি রয়েছে।
জেলা সদরের মাতাসাগর এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাত পা জমে যাচ্ছে। মনে হয় না যে বাড়ি থেকে বের হই। ঠাণ্ডায় আর ভালো লাগে না।
খামারকান্ত বাগ এলাকার ফিরোজ ইসলাম বলেন, গরম কাপড় গায়ে দেওয়ার পরও শীত মরে না। এবারে শীত বেশি কষ্ট দিচ্ছে মানুষজনকে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, চলতি মাসে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত থেকে ঘন কুয়াশায় চাদরে ঢাকা থাকবে চারপাশ।
কেএস