ভূরুঙ্গামারীতে শীতের তীব্রতায় বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

মনিরুজ্জামান মনির, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া থাকায় দুপুরের আগ পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। শীতনিবারণের জন্য অনেককে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহনকে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।

বুধবার সকালে জেলার তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতায় গোটা উপজেলার মানুষ জুবথুবু। চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষসহ চরাঞ্চলের মানুষ। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি বেড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজানিত রোগ। শীতের কবল থেকে বাঁচতে নিম্নআয়ের মানুষজন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। গৃহপালিত পশুপাখিসহ অন্যান্য পশুপাখির দুর্ভোগ বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ভূরুঙ্গামারীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। এতে উপজেলার ছিন্নমুল মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

অটোরিকশা চালক মাইদুল বলেন, কুয়াশার কারণে সকাল বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে অটোরিকশা চালাতে হয়। ঠান্ডায় রাস্তায় যাত্রী কমে গেছে। ঠান্ডা যদি আরও বাড়ে তবে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।
শীতের পিঠা বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষজন বাহিরে কম বের হচ্ছেন। এতে পিঠা বিক্রি কমে গেছে। শীত যদি আরও বাড়ে তবে পিঠা বিক্রি আরও কমে যাবে। 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য পাঁচ হাজার কম্বল পাওয়া গিয়েছিল যা ইতোমধ্যে দশ ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, বুধবার সকাল ৬ টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে একটি মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ চলছে যা অব্যাহত থাকার সম্ভবনা রয়েছে।

এআরএস