মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এলজিইডি‍‍`র উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে লাইসেন্সধারী ঠিকাদারগণ এলজিইডি‍‍`র প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, মোঃ আশিকুর রহমান উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদঃ) হিসেবে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে এ উপজেলায় উন্নয়ন মূলক কাজের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি একজন অদক্ষ ও অযোগ্য লোকও বটে। মাঠ পর্যায়ে এই প্রথম যোগদান করেন এবং তার পক্ষে উপজেলা পরিচালনার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারগন পটুয়াখালী এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকেও অবহিত করেছেন। তিনি অফিসের জিওবি কর্মচারীকে দেখতে পারেন না এবং আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় এলকেএস আউট সোসিং কর্মচারীকে দিয়ে অফিসের কাজও দেখভাল করাচ্ছেন। গত অর্থ বছরের টি/এ বিলের টাকা উত্তোলন করে একক ভাবে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথেও তার বাক-বিতান্ডার ঘটনা ঘটে। যা তিনি পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেন বলে জানা যায়। কাজের সাইডে গিয়ে ঠিকাদারকে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন যা উন্নয়ণমূলক কাজ সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়তে হয় ঠিকাদারকে। এতে প্রকল্পের ব্যয়, সময় ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার এক ঠিকাদার বলেন, আমি প্রায় ১৮দিন ধরে উপজেলা এলজিইডি অফিসে আসি। স্যার আমার সাইডে গিয়ে কাজের মান যাচাই এবং সিডিউল মতো কাজ দেখে আসবেন কিন্তু সে সময় দিতে না পারায় আমার কাজটি পড়ে আছে। এরকম একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ পড়ে আছে উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলার কারণে।

অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করে ঠিকাদাররা। উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদঃ) মোঃ আশিকুর রহমানকে পরিবর্তন করে একজন দক্ষ উপজেলা প্রকৌশলী পদায়ন করার দাবি জানান ঠিকাদারগন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তা আমি শুনেছি। তবে আমি নিয়ম মতই ঠিকাদারদের কাজ করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পটুয়াখালী এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএস