যেদিকে চোখ যায় বিস্তীর্ণ হলুদের সমারোহ। যেন দিগন্ত ছুঁয়েছে সরিষার ফুলের হলুদ আভা। শীতের সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন হলদে ফুলের মনমাতানো মৌ মৌ গন্ধ আর অপরূপ দৃশ্য আকৃষ্ট করে যে কাউকে।
বিশেষ করে উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠ সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষার ফুলে ফুলে ছড়িয়ে আছে অপরূপ সৌন্দর্য। যা দেখে যে কারো মনে হবে ফসলের মাঠে রাশি রাশি সোনা ছড়িয়ে আছে।
বুড়িচং উপজেলার ৯ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে চাষ হচ্ছে সরিষা। তবে বাকশীমূল ইউনিয়নের পাহাড়পুর, খারেড়া, লোহাইমুড়ি, মাশরা, বাকশীমূল, আনন্দপুরসহ পীরযাত্রাপুর, ভারেল্লার শোভাপুর এবং গোবিন্দপু্র (সোনার বাংলা কলেজের পাশে) সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন চাষিরা। তারা সরিষা ঘরে তুলে ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করবেন।
এসব এলাকা চাষীরা সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ করতে পারলেই কৃষকদের চিন্তা দূর হবে। চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় ১৬৮ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে সরিষার।
আবহাওয়া অনুকূলে তারপরও দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। গত মৌসুমের তুলনায় এবার অনেক বেশি সরিষার আবাদ হচ্ছে উপজেলাজুড়ে। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও বারি-৯, বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ এবং বীনা-৪, বীনা-৯ সরিষার আবাদ হয়েছে।
বারি-১৮, প্রায় ১০হেক্টর জমিতে এবার চাষ করা হয়েছে।
বাকশীমূল ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন গড়ে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে তার খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে তিনি তার জমি থেকে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ মণ সরিষার ফলন পাবেন।
কৃষক ওমর ফারুক ও আব্দুল কাদের জানান, ওই এলাকার এবার ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, চলতি বছরে বুড়িচং উপজেলায় ১৬৮ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। বিঘা প্রতি মাত্র তিন চার হাজার টাকা খরচ করে প্রায় পাঁচ মণ করে সরিষার ফলন পাবেন চাষিরা। অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকবেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরিষা চাষিরা।
এআরএস