অতিথি পাখিতে মুখর গাংনী

গাংনী ( মেহেরপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

মেহেরপুরের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। জেলার বেশ কয়েকটি বিল এখন মুখরিত অতিথি পাখির কলগুঞ্জনে। এখানকার বিলগুলোতে একাধিক প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মিলছে জেন্ডাসিগলা, জাডানিক বা সরালি হাঁস। কালচে বড় লম্বা গলার সরালি পাখি দেখতে অনেকটা দেশি হাঁসের মতো।

শীত এলেই নানা রকমের পাখিতে ভরে যায় এলাকার বিল ও জলাশয়। আদর করে মানুষ তাদেরকে ‘অতিথি পাখি’ বলে। বিচিত্র তাদের জীবন চক্র। প্রকৃতির প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বাঁচতে তারা হাজার হাজার মাইল পাড়ি জমায়। খুঁজে নেয় নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, অনুকূল পরিবেশের কারণে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি অতিথি পাখি আসে বাংলাদেশে।

তীব্র শীত থেকে বাঁচতে অপেক্ষাকৃত কম শীতের দেশে পাড়ি জমায় পাখিরা। এরা সাধারণত ৬০০ থেকে ১২০০ মিটার উঁচু দিয়ে উড়তে পারে। এসব পাখি তাদের গন্তব্যস্থান ঠিকভাবেই নির্ণয় করে।

সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে দলবেঁধে আসতে শুরু করে এসব পাখি। মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত বিল ও জলাশয়ে অবস্থান করে প্রকৃতিকে ভরিয়ে রাখে। এ সময়ের পর অতিথি পাখিরা তাদের পূর্বের গন্তব্যে আবারো ফিরতে শুরু করে।

বেশ কয়েক বছর ধরে মেহেরপুর সদরের তেরঘরিয়া বিল, চাঁদবিল, হরিরামপুর বিল, গাংনী উপজেলার মাইলমারী বিল, নোনার বিল, মাইলমারী বিল ও মরা নদীই পাখিদের পছন্দের বসবাসের স্থান ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ফলে শীতের অতিথি পাখিদের বসতি গড়তেও দেখা যাচ্ছে ওই সকল বিল ও জলাশয়ে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মাইলমারী বিলে অতিথি পাখি দেখতে আসা কয়েকজন বলেন, প্রতিদিন বিকেলে হাজার হাজার অতিথি পাখি আকাশে উড়ে বেড়ায় আর খেলা করে সেটা দেখার জন্য এসেছি, পাখির কিচিরমিচির ডাক আর উড়ে উড়ে খেলা করা দেখতে খুব মজা লাগলো। এই সকল পাখিদের কেউ শিকার করে না এলাকার মানুষ জন খুব সচেতন।

প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগের আগের তুলনায় অতিথি পাখির সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে ব্যাপকহারে পাখি শিকার, জলাভূমির সংখ্যা কমে যাওয়া, জলভূমিতে পানি না থাকার কারণে, পাখিদের খাদ্যের অপ্রতুলতা ও নিরাপদ আশ্রয়স্থলের অভাব ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরদারির অভাবকে দায়ী করছেন পাখি প্রেমীরা।

এআরএস