শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রমোশন না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম

নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ২৬ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস প্রমোশন না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রতিষ্ঠানের সামনে ঘণ্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা।

এসময় অষ্টম শ্রেণীতে প্রমোশনের দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন, সপ্তম শ্রেণীর ইসরাত জাহান ইশা, শারমিন সাদিয়া, ময়ূরী আক্তারসহ অনেকে। এছাড়াও অবিভাবক শাহাবুল ইসলাম, আসমা সুফিয়া, বিউটিসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা কালীন সময়ে আমরা ঠিকমতো স্কুলে আসতে পরিনি। পড়াশোনাও ঠিকমতো হয়নি। আমাদের অর্ধবার্ষিক পরিক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য ছিলো কিন্তু বার্ষিক পরিক্ষায় সব বিষয়ে ফলাফল ভালো করি। কিন্তু আমাদের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি আসরাফী আমাদের ক্লাস প্রমোশন দিচ্ছেন না। কিন্তু যারা ১ বিষয়ে অকৃতকার্য ছিলো তাদেরকে প্রমোশন দিয়েছে। ৯ম শ্রেণীতে ৩ থেকে ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দিয়েছে। আমাদের অপরাধ কি? আমরা কোথায় যাবো। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। এর দায় ভার কে নেবে? আমরা ক্লাস প্রমোশন চাই।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যঘাত ঘটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইচ এস সি না নিয়ে অটোপাশ দিয়েছেন। সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫/৭ বিষয়ে অকৃতকার্যদের ক্লাস প্রমোশন দিয়েছে। অথচ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রমোশন দেওয়া হয় নাই। তারা কোথায় যাবে। তাদের ও তো একটা আত্নসম্মানবোধ আছে। নতুন কারিকুলামের সাথে পূর্বের কারিকুলামের কোন মিল নেই আমাদেরও ক্লাস প্রমোশন দেওয়া হোক। তা নাহলে আমাদের ভবিষ্যদ অন্ধকার হয়ে যাবে। তার দায় কে নেবে?

তারা আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য চলে। যারা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে কোচিং করে তাদের মার্ক ভালো দেয় যারা করে না তাদের মার্ক কম দেয়। তাতে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই পিছিয়ে পরে। অনেকে আবার মার্ক কম পাওয়ার কারণে অকৃতকার্য হয়। এসব বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে আমরা সকল অবিভাবকদের দাবি অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের একবার সুযোগ দেওয়া হোক।

জানতে চাইলে নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি আশরাফী বলেন, অভিভাবকরা যদি হাইকোর্টেও যায়, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ করে তারপরও আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবো না।

কেএস