ঠাকুরগাঁও ইভিএমে ত্রুটি, দুইবারে ভোট

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে নারী ভোটার নিলি রানীর একটি ভোট হয়নি তিনি ইভিএমে দুইবার ভোট দিয়েছেন। 

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, উপ নির্বাচনে মোট ১২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রত্যেকটিতেই ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ চলছে।

লোহাগাড়া চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণের শুরুতে ভোট দিতে এসে কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ বুথের ২ নম্বর কক্ষে প্রথম লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। ভোট গ্রহণ শুরু হলে যথারিতি প্রথম ভোট দেন ইভিএম মেশিনে। বুথ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা জানান ইভিএম মেশিন ভোট গ্রহণ সমন্বয় করতে পারেনি। পরে সাময়িক ভোট গ্রহণ বিলম্ব হওয়ার পর আবারও ভোট দেন তিনি।

নিলি রানী রসিকতা করেই জানান, ইভিএম মেশিনে দুইবার ভোট দিলাম, প্রথমবার মেশিনে ত্রুটির কারণে ভোট নাকি হয়নি। পরে আবারও দিয়েছি। তবে অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। 

এই কেন্দ্রে চার নম্বর কক্ষে আরেকটি ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে এসেছেন দিনেশ চন্দ্র। সে কক্ষেও ইভিএম মেশিনের ত্রুটি দেখা দেয়। ভোট গ্রহণ হচ্ছিল ইভিএমে। 

ভোটার দিনেশ চন্দ্র বলেন, কী কারণে সমস্যা হচ্ছে আমি জানি না। আমি এই মেশিনে প্রথম ভোট দিচ্ছি। শুরুতেই এমন সমস্যা ভোটারদের দুঃশ্চিন্তায় ফেলবে। ভোটারদের যেন ভোগান্তি না হয় সে দিক বিবেচনা করে দ্রুত সমাধান জরুরি। 

চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আল মাবুদ জানান, এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৭০৬ জন। যথা সময়ে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও কয়েকটি মেশিনে ত্রুটির কারণে ভোট নিতে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করছি। সমাধান হয়ে যাবে। 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈলে উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন।

এ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ১৪ দল মনোনীত ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা), জাকের পার্টির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাফি আল আসাদ (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)।
আরএস