আখাউড়া দিয়ে এক মাসের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ১১:৫৮ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এক মাসের জন্য ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া। 

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। 

তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধের কথা জানান সেখানকার ব্যবসায়ীরা। 

এর ফলে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, এতদিন এ ধরনের কোনো জটিলতা ছিল না। আমাদের মনে হয়, এই ধরণের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সে দেশের ব্যবসায়ীদের মাছ আমদানি করা থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। মাছ রপ্তানি বন্ধ হওয়ার ফলে আমাদের রেমিটেন্সে বিরূপ প্রভাব পড়বে। 

আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আমাদের বন্দরটি প্রায় শতভাগ রপ্তানিমুখী। এই বন্দর দিয়ে যে সব পণ্য রপ্তানি হয় তার সিংহভাগই মাছ। হঠাৎ করে এই বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশ লোকসানে পড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। 

আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে শুল্ক আদায় হয় বেশি, সেজন্য মাছ রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।

কেএস