রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট কমিউনিটি ক্লিনিক টানা ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের জনগনের চিকিৎসা সেবা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, দৌলতদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি দীর্ঘ ৩ মাস ধরে বন্ধ। ফলে ক্লিনিকের মধ্যে আটকে রাখা ঔষধ নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ গ্রামীণ শিশু, নারী ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আশ পাশ এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। তাদের এখন চিকিৎসা সেবা পেতে হলে ৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সেই কমিউনিটি ক্লিনিক ৩ মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভেস্তে যেতে বসেছে স্বাস্থ্য সেবা।
দৌলতদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ফিরে যাওয়া দুই জন রোগী আছমা ও শোভা বলেন, আমরা প্রায় এক মাস ধরে এ ক্লিনিকে আসি আর চলে যাই। আসলেই দেখি ক্লিনিকের দরজায় তালা লাগানো। কোন দিনও এসে দেখিনি খোলা রয়েছে। শুধু বন্ধ থাকে কারণ কি জানি না। এ ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা নিলে আমাদের কষ্ট করে আর গোয়ালন্দ হাসপাতালে যাওয়া লাগে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাহিদা আক্তার বলেন, দৌলতদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ জনের মত রোগী দেখা ও ঔষধ দেওয়া হতো। অনেক দিন বন্ধ থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ক্লিনিকের পাশে ঔষধের দোকানদার সাইফুলের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছিলো জাহিদুলের। ঝামেলা মিমাংসা করে জাহিদুলের জায়গায় জাহিদুল চলে আসলে ভালো হতো। আর এমও স্যার আমাকে বলেছেন জাহিদুলের ওই জাগায় দিয়েন না। উপজেলা ১৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। তার মধ্যে ১৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে লোকবল আছে। আমার এমনিতেই লোক কম রয়েছে। আপাত রোববার ও বুধবার সাপ্তহে দুইদিন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ওপরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে সাধু ও ঔষধের দোকানদারে সাথে জাহিদুলের বিরোধ হয়েছিল। এ কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসি আমজাদ বসছে।
কেএস