কৃষি অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় কুল

শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ১০:২১ এএম

শেরপুরে ইউটিউব দেখে মিশ্র ফল বাগান শুরু করেন দুই বন্ধু। বছর ঘুরতেই দেখা দেয় এর সাফল্য। একশ প্রজাতির ফলের গাছ এখন দুই বন্ধুর মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে।

আর এর পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন প্রবাসী এক বোন। জমি ও বাগান করতে দিয়েছেন অর্থ। যার ফলে দেখার মতো একটি বাগান হয়েছে। বাগানটি দেখতে শেরপুর ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও আসতে শুরু করেছেন লোকজন। এবার কুল চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তারা।

শতাধিক গাছে কুল ছেয়ে গেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার কুল বিক্রি করছেন তারা। এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার কুল বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এবার দিগুণ লাভের আশা করছেন বাগান মালিক এমদাদুল হক বিদ্যুৎ ও উদয় কুমার। বাজারে কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এরমধ্যে আপেল কুল, টকমিষ্টি, বলসুন্দরী, সিডলেস ও কাশ মেরীকুলের চাহিদা বেশি।

এ বিষয়ে বাগান মালিক এমদাদুল হক বিদ্যুৎ ও উদয় কুমার জানান, আমাদের এ বাগানটির বয়স বেশি দিন না হলেও এর সাফল্য পাওয়া শুরু করেছি। শেরপুরজুড়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করছে বাগানটি।

বাগানটি দেখতে আশপাশের জেলা থেকে প্রতিদিনই লোকজন আসেন। আমাদের বাগানটির নাম দেওয়া হয়েছে ইউএনবি এগ্রো।

এর আগে মাল্টা, পেয়ারা আর ড্রাগন চাষে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে জেলা জুড়ে। বাজারে এ বাগানের বরইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভের স্বপ্নটা একটু বেশিই করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়। এই এলাকার মাটি উপযোগী হওয়ায় নতুন জাতের এই কুল চাষ ও চারা উৎপাদন কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা।

এখানকার ফল চাষে বিদেশী ফল আমদানি অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। এদিকে ওই দুই বন্ধু বাগানে ফল চাষের পাশাপাশি শুরু করেছেন মাছ চাষ, কবুতর, গরু ও মুরগী পালন। তার এসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আরো অনেকেই।

এআরএস