ফুলছড়িতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী (৭১)কে মারধর ও দাড়ি ধরে লাঞ্চিত ঘটনায় আব্দুল ওয়াদুদ এর পুত্র লায়ন মিয়া (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওসার আলী জানান, ১৩ জনকে আসমি করে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফুলছড়ি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী ।
এরপর তদন্ত করে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলা চার্জশিট দাখিল করে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার মামলায় অভিযুক্ত ৬ নং আসামি আব্দুল ওয়াদুদ এর পুত্র লায়ন মিয়া (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
এদিকে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে তদন্ত গেলে জানা যায়, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফুলছড়ি উপজেলাধীন নবাবগঞ্জ বাঁধ সংলগ্ন বাজারে জনৈক চান্দু মিয়ার চায়ের দোকানে মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী চা পান করতে আসলে, সে সময় মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলিকে দেখে, স্থানীয় ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে লায়ন মিয়া (২৮) অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে । একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী প্রতিবাদ করলে অতর্কিত তার উপরে হামলা করে তাকে মারপিট এবং দাড়ি ধরে মাটিতে ফেলে দেয় লায়ন মিয়া । জানা যায়, স্থানীয় আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার সাথে পুর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছিল মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ।
চাক্ষুস সাক্ষী গোলাম মওলা (৭৫) ‘আমার সংবাদ’ কে জানান, আমি সে সময় ওইখানে ছিলাম, কোন কথা বলে নাই আনসার ভাইকে হঠাৎ লায়ন গালি গালাজ শুরু করে এক পর্যায়ে বেঞ্চ তুললে আমরা বাধা দিলাম সে দৌড়ে এসে কিল ঘুষি মারা সুরু করল এরপর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলির দাড়ি ধরে ঝুলে মাটিতে ফেল দেয় লায়ন। আমরা অনেক কষ্টে তার হাত দাড়ি থেকে ছাড়াই । কয়েক জন মিলে তাদের কে ছাড়িয়ে নেওয়ার কিছুক্ষন পর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলির ছেলে নুরুল আমিন রতন (৩৫) বাবার সাথে মারামারির সংবাদ পেয়ে বাড়ি থেকে ছুটে আসলে রাস্তায় লায়ন ও তার বন্ধু দের সাথে দেখা হয়। লায়ন রাস্তায় রতন কে একা পেয়ে কিল-ঘুষি মেরে পরনের জামা ছিড়ে পকেটসহ শার্ট এর অর্ধেক ছিড়ে নিয়ে রতনকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় । একই কথা বলেছেন ওই স্থানে ঘটনার সময় উপস্থিত মিঠু মিয়া (৪৫)।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, আমাদের পরবর্তি পদক্ষেপ হিসেবে আসামিকে আদালতে চালান করব । এবং বাকি আসামিগণ পলাতক রয়েছে আমরা তাদেরকে গেপ্তার করার চেষ্টা করছি।
আরএস