শ্রমিকদের ৭ দফা আন্দোলন 

বুড়িমারী স্থল বন্দরে ৫ ঘণ্টা পণ্য বোঝাই খালাস বন্ধ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের পণ্য বোঝাই ও খালাস করা শ্রমিকদের আন্দোলনে ৫ ঘন্টা এ স্থলবন্দরে আমদানি- রপ্তানি পণ্য বোঝাই ও খালাস বন্ধ ছিল। 

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত আন্দোলন করে শ্রমিকেরা। নায্য মুজুরী, হিসাবে অনিয়ম, কমিটি গঠন, স্বজনপ্রীতিসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে শ্রমিকরা।

জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অধীন দুই হাজার ছয় শত শ্রমিক প্রতিদিন স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের গাড়ি খালাস এবং বোঝাই করে থাকে। এতে প্রতি শ্রমিক নায্য পারিশ্রমিক না পাওয়া, শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য মজুরীর টাকা হতে কর্তন করে রাখা টাকা, বন্ধের দিনে পণ্য বোঝাই ও পেলুডার (যান্ত্রিক গাড়ি) দিয়ে পণ্য বোঝাই করার টাকার হিসাবে অনিয়ম, ২০০৯ সাল হতে বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নির্বাচন না হওয়া, পারিবাকিভাবে শ্রমিকের সর্দার নিয়োগে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং অনিয়ম বন্ধে আন্দোলন করে ওই সংগঠনের সাধারণ শ্রমিকেরা। 

এ সময় আমদানি-রপ্তানিকৃত গাড়ি হতে শ্রমিকরা পণ্য খালাস ও বোঝাই না করায় পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কিছু গাড়ি। ৭ দফা দাবি আদায়ে সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে স্থলবন্দরের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কার্যালয়ের শ্রমিক সিরিয়াল অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। 

এ সময় শ্রমিকদের দাবির সাথে একাত্বতা জানিয়ে যোগ দেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম মিঠু। 

সভায় শ্রমিকদের দাবি আদায়ে এদিন শনিবার সন্ধ্যায় ফেডারেশনের নেতা ও আন্দোলনরত শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেয়।

শ্রমিক রাশেদ রানা বলেন, আমাদের শ্রমিকরা ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন ডেকেছে। সেই ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন করছি। পরে আমাদের আন্দোলনে ইউপি চেয়ারম্যান ও সি অ্যান্ড এফ এজেন্টের সভাপতি এবং আমাদের সর্দাররা আজ সন্ধ্যায় বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন । যদি তারা আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয় তাহলে আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব, আর যদি দাবিগুলো মেনে না নেন তাহলে আমরা আবার কর্মসূচিতে ফিরে যাব। 

বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সফর উদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিকদের জমাকৃত টাকা হতে ফেডারেশনের নামে জমি কেনা হয়েছে। অসহায় ও অসুস্থ্য শ্রমিকদেরকে সহযোগিতা করা হয়। করোনা কালীন সময়ে জমা টাকা থেকে ২৮ লাখ টাকা শ্রমিকদেরকে মধ্যে দেওয়া হয়েছে। ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক করা হয়। ভুল বুঝাবুঝি হতে আন্দোলন করা হয়েছে, আলোচনা করলে এটা ঠিক হয়ে যাবে।’

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিদর্শক মাহাবুব হাসান বলেন, ‘শ্রমিকেরা পণ্যের গাড়ি খালাস বা বোঝাই করেনি। এতে তো গাড়ি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেই- এটা মিটে গেছে শুনেছি।’   

আরএস