ফেনীর ছাগলনাইয়া ও ভারতের শ্রীনগরের সীমান্ত হাটটি মহামারি করোনায় বন্ধ থাকার পর ফের চালু করা হচ্ছে। এ নিয়ে দুই দেশের নীতিনির্ধারক মহল ও ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর সীমান্তহাট পুনরায় চালুর ঘোষণায় পাশবর্তী দুই দেশের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।
২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুই দেশের সীমান্তবাসীদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানো ও বাণিজ্য প্রসারে নোম্যানস ল্যান্ডে এ হাট চালু হয়। এ হাটটিতে ভারত-বাংলাদেশীদের জন্য আলাদা আলাদা শেডে ২৭টি করে মোট ৫৪টি দোকান রয়েছে। এটি দেশের তৃতীয় সীমান্ত হাট। এ হাটে দু’দেশের আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারে বসবাসরত গ্রামবাসীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সপ্তাহের একদিন বেচাকেনা হতো। পাঁচ বছর এ হাটের কার্যক্রম ভালভাবেই চলছিল।
তবে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে ২০২০ সালের ৩ মার্চ এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রায় দুই বছর পর আবার চালু হওয়ার অপেক্ষা এখন। এ হাটকে ঘিরে শুধু বিকি-কিনি পাশাপাশি চলতো দুই দেশের মিলনমেলা। তৈরি হতো হাসি-আনন্দের দৃশ্যপট। এতে দুই দেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের দেখা করতে পাসপোর্ট-ভিসার প্রয়োজন হতো না।
দোকানীরা জানান, অনেক কষ্টে লোন করে হাটে একটি দোকান দিয়েছিলাম। ভালোই চলছিলো হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পথে বসতে হয়েছে। ঠিকমতো চলতেও পারছি না। লোনের জন্য মানবেতর জীবন যাপন করছি। হাট চালু হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে।
হাটের দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আফসার বলেন, আমরা বেশ কয়েক বছর ভালভাবেই এ হাটে ব্যবসা করেছি। এখানে ব্যবসা করে অনেকের ভাগ্য ফিরেছে। দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বেকার হয়ে কষ্টে আছে। হাটটি আবার চালু হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান বলেন, সীমান্ত হাটটি চালুর বিষয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। দুই দেশের যাবতীয় পক্রিয়া শেষে শীঘ্রই এটি আবার চালু করা হবে।
কেএস