রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ১০ লক্ষ মূল্যের চারটি গরু চুরি হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রামনগর(হলের মোড়) কৃষক গোলাম মোস্তফার গোয়াল ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ২টি গাভীও ২টি বাছুর চুরি করে পিকআপে করে নিয়ে যায়।
এ সময় কৃষক মোস্তফার বাড়ীর দরজাতেও তালা দেয় চোররা। রামনগর গ্রামের এক নারী বলেন, রাতের বেলায় টয়লেটে যাওয়ার সময় দেখতে পায় যে মোটরসাইকেল ও পিকআপ দাড়ানো ছিল। ৬/৭ জন মেলে গরু গুলি পিকআপে তুলে রাজশাহীর দিকে চলে যায়। ওই নারী মোস্তফা তার গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে ধারনা করে।
কৃষক গোলাম মোস্তফা গোদাগাড়ী মডেল থানায় গরু চুরির অভিযোগ দায়ের করেছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গরু চুরি রোধে রাতের বেলা পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দলকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং গরু উদ্ধারের পুলিশ চেষ্টা করছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, তিন মাসে আগেও রামনগর গ্রামের সইবুর রহমান ৩টি ও সুলতানগঞ্জ রফিকুল ইসলামের একটি গাভী একই কাদাই চুরি হয়। থানায় অভিযোগ হলেও এসব গরু গুলো এখনো উদ্ধার হয়নি।
স্থানীয়রা আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু চুরির ঘটনা ঘটলে চোরদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং চুরি রোধে পুলিশের ভূমিকা অনেকটা রহস্যজনক। এভাবে গরু চুরি হতে থাকলে গ্রামের গরিব কৃষি পরিবার গুলো গরু লালন পালন বন্ধ করে দিবে। এতে কৃষি পরিবার ও দেশ দুইটি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং বেকারত্ব আরো বাড়তে থাকবে।
আরএস