চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহপাঠীদের অভিযোগ পেয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহিদুল আলম।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। সে ওই এলাকার মোহাম্মদ এমরান নামে এক প্রবাসীর মেয়ে এবং উপজেলার গড়দুয়ারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা যায়, বয়স মাত্র ১৭ বছর, বাবা থাকেন প্রবাসে। বাবা প্রবাসে থাকায় মেয়ের কোনপ্রকার সম্মতি ছাড়াই লোভে পড়ে এক বিদেশী ছেলের সাথে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেছে মা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হওয়ার কথা পাকাপাকি। কিন্তু এই বিয়েতে তার কোন মত ছিল না, ছিল একটি মাত্র স্বপ্ন। আগামী ২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার খুবই ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু তার এই স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার ৭ ফেব্রুয়ারি গড়দুয়ারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের একটি লিখিত অভিযোগ আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করে ইউএনও।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি আবেদন আসে। আবেদনে বিস্তারিত তথ্যের পাশাপাশি ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের আকুতির কথাও জানায় তার সহপাঠীরা। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর মাকে ইউএনও কার্যালয়ে আনা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দোষ স্বীকার করেন ও ভবিষ্যতে কন্যাকে পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের চেষ্টা করবেন না বলে মুচলেকা প্রদান করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কেএস