স্বামী মারা গেছে ৬ বছর আগে ২ টি ছেলে সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই এক বিধবা নারী বসবাস করেন। ৩২ বছর বয়সী ওই নারী বিধবা হওয়ার সুযোগ নেয় প্রতিবেশি ৩ সন্তানের জনক একই গ্রামের মৃত ইসরাইল মাতুব্বর এর ছেলে ৪০ বছর বয়সী জাহিদ মাতুব্বর।
ওই নারীর স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কিছুদিন পরেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জাহিদের সাথে। ভালোই চলছিল তাদের পরকীয়ার ও গোগন সম্পর্ক, বিধিবাম হয়ে গেল গতরাতে। বিধবা নারীর ২ ছেলে ১ ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর ১ ছেলে ও ৭তম শ্রেণির ছাত্র, তারা ২ ভাই আলাদা রুমে একসাথে ঘুমায়, মা ঘুমায় একা অন্য রুমে মাঝেমধ্যে ওই পরকীয়া প্রেমিক আসে। গতরাতও বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চলছিলো তাদের পূর্বের ন্যায় পরকীয়ার কার্যক্রম ঠিক তখন এলাকার লোকজন টের পেয়ে পাকড়াও করে হাতেনাতেই ধরে ফেলেন জাহিদ ও বিধবা ওই নারীকে।
ধস্তাধস্তি করে জাহিদ পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাত ২ টার দিকে ওই নারী গিয়ে ওঠেন জাহিদের বাড়িতে। ততক্ষণে জাহিদও পালিয়ে যায়, তাকে বাড়িতে না পেয়ে ঐ নারী জাহিদের থাকার ঘরে খাটের উপর অবস্থান করছিলো।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের জুগীকান্দা গ্রামে। ২ পরিবারই এখন বিপাকে, স্থানীয়রাও সমাধান দিতে, রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। স্থানীয়রা খুঁজে ফিরছেন কি তার সমাধান দেওয়া যায়। এদিকে জাহিদের স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়ে, জাহিদের সন্তানেরাও যথেষ্ট বড়, বাবার কর্মে হতভম্ব তারা। লোকলজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন তারা। এদিকে বাড়িতে ক্রমেই উৎসুক জনতার ভীড় জমছে। দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তারা। ২টি পরিবারই বেকায়দায় রয়েছে।
এদিকে ওই নারী বলছেন এখন আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। একমাত্র জাহিদের সাথে আমার বিয়ে হলেই এর সমাধান হবে। অন্যথায় আমি কোথাও যাবো না। এখন যদি জাহিদ আমাকে বিয়ে না করে, মরণ ছাড়া আমার কোন পথ খোলা নেই। গতরাত থেকে এপর্যন্ত কোন সমাধান আমাকে কেউ দেয়নি।
অভিযুক্ত জাহিদ বাড়িতে না থাকায়, তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি এরকম হওয়ার কথা না। আমার সাথে ওই নারীর কোন সম্পর্ক নাই, স্থানীয় গ্রাম্য দলপক্ষের কারনে ওই নারীকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস