সাত রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সফিউল আলম, কক্সবাজার প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম

কক্সবাজারে ইয়াবাপাচার মামলায় মিয়ানমারের সাত রোহিঙ্গা নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

এ সময় জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালত এ রায় দেন বলে জানান কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল- এম. বেলাল হোসেন, ইয়ার মোহাম্মদ, জয়নাল হোসেন, জাকির হোসেন, মঞ্জুর আলম, আব্দুর রহমান ও মো. জাকির হোসেন।

তারা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

মামলা নথির বরাতে ফরিদুল আলম বলেন, গত ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ উপকূলবর্তী গভীর সাগরপথে নৌযান যোগে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে শাহপরীরদ্বীপ থেকে অনন্ত ৭ থেকে ৮ নটিক্যাল মাইল দূরবর্তী সাগরে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ট্রলার থামিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়। এসময় ট্রলারটি তল্লাশী করে পাওয়া যায় ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা।

এ ঘটনায় পরদিন (২ ডিসেম্বর) কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের সদস্য এম. এ. ইসলাম বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে গত ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জমা দেন। এরপর গতবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর (চার্জগঠন) আদেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল বলেন, মামলার সার্বিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিকালে আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন। এতে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক মামলার ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণাকালে মামলার সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।

কেএস