ঘুষ দাবির প্রতিবাদে ট্রাক্টর মালিকের সংবাদ সম্মেলন

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক বাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট পুলিশ সুপার, বি-সার্কেল ও স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী হাজীর মোড় এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার ট্রাক্টর মালিক আমিনুর রহমান।

ভুক্তভোগী চারজন হলেন- উপজেলার ধুবনী হাজীর মোড় গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে আমিনুর রহমান, মৃত আজিজার রহমানের ছেলে আতোয়ার রহমান ও আব্দুল করিমের ছেলে ইয়াকুব আলী এবং একই ইউনিয়নের বদিউজ্জামানের ছেলে মোশারফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী হাজীর মোড়ে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন ৮ জন। সেই ঘটনার ৫ দিন পর সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুলতান আহমদ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও জানা যায়, ধুবনী হাজীর মোড় এলাকার ভুক্তভোগী ওই ট্রাক্টর মালিকদের নাম তিস্তা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সেই মামলায় এজাহার ভুক্ত করার ভয় দেখান উপ-পরিদর্শক বাবুল হোসেন। এ সময় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন তিনি। ভুক্তভোগীরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।  

এ সময় ভুক্তভোগী আতোয়ার রহমান বলেন, হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক বাবুল হোসেন আমাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ঘুষ দাবি  করেন। সেসময় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আমাদের বিরুদ্ধে  মিথ্যা মামলার আতঙ্কে আছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক বাবুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আমি তদন্তের দায়িত্বে রয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলেন, বালু মহল আইনে ৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সুলতান আলী। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই বাবুলকে। তাদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএস