বান্দরবানের লামা উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্তা এক মারমা (২৮) নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ফুটের ঝিরি এলাকার মো. আবদুল্লাহ ছেলে মো. কায়সার (৩৫) এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধর্ষণের শিকার এই নারী অভিভাবক নিয়ে লামা থানায় এসে কায়সারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
নির্যাতিতা নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় হ্লাথুই পাড়ার উত্তর পাশে ছোট খালের উপরে আকাশি গাছের বাগানে গত শুক্রবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে খালের চরে শাক তুলতে গেলে কায়সার (৩৫) পিছন থেকে আক্রমণ করে। তার গলায় থাকা গামছা মুখে ঢুকিয়ে নির্যাতিতা নারীকে টেনে কিছু দূরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ধর্ষণে বাধা দিলে নির্যাতিতার চুল টেনে মারধর করে হত্যার হুমকি দেয় আসামি। ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নির্যাতনের শিকার নারী চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে এবং ধর্ষককে আটক করে। পরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের (১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য জোৎস্না আক্তার ঘটনাস্থলে এসে বিচারের আশ্বাস দিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক কায়সারকে নিয়ে চলে যায়। পরে নির্যাতিতা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লামা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা জোৎস্না আক্তারের কাছে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কায়সার ভিক্টিম নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ভুক্তোভোগী নারীকে থাপ্পর দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত মো. কায়সার।
লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিদুর রহমান জানান,স্বামী পরিত্যক্ত এক মারমা সম্প্রদায়ের নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবি