বরিশালের বাকেরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট এবং ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বুধবার (৮ মার্চ) উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নলুয়া গ্রামে নূর আলমের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নূর আলমের স্ত্রী ফরিদা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তাহার দেবর মোঃ জামাল হোসেন একজন মুদি ব্যবসায়ী। পশ্চিম নলুয়া ইউনিয়নের গোলাম রাজ্জাকের দুই পুত্র মোঃ মাইনুল ইসলাম ও মহিবুল্লার সাথে তাহার দেবর জামাল হোসেনের সাথে দোকানের পাওনা টাকা নিয়ে শত্রুতা চলছে। তারই জের ধরে বুধবার বিকেল ৫ টার সময় একই গ্রামের মোঃ মাইনুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মতলেব হাওলাদার, গোলাম মাওলা ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারসহ ৭০-৮০ জন লোক হাতে রামদা, দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে জামাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের বসত ঘরের বেড়া কুপিয়ে বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে। হামলার খবর পেয়ে জামাল হোসেন ও নূর আলম বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
অসহায় গৃহবধূ ফরিদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, তাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে উল্টো তাদের নামেই থানায় মামলা করেছেন গোলাম রাজ্জাকের পরিবার। অথচ হামলার সময় কালাম হাওলাদার বাড়িতে ছিলেন না। আমির হোসেন একজন বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী। বাকেরগঞ্জ থানা থেকে এসআই নাসির গিয়ে দোকান এলাকা থেকে কালামকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এমনকি তার আরেক দেবর এইচ এম জাফর আহমেদ বাকেরগঞ্জ সরকারি বালিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তা সত্বেও তাদেরকে আসামী করা হয়েছে।
পরিশেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গৃহবধূ ফরিদা বেগম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও সহযোগীতা কামনা করে গোলাম রাজ্জাকদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।