আফিপা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মুখ ও হাত বেধে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্যাতনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরলে বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বাউফল থানার ওসি ঘটনাস্থল কাছিপাড়া ইউনিয়নে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ওই গৃহবধূর স্বামীর নাম রিহৃয় হোসেন (২২)। তিনি কুমিল্লা জেলার একটি ইটভাটায় পোড়াই মিস্ত্রীর কাজ করেন।
গৃহবধূ আফিপা আক্তার জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাঁড়া দিতে ঘরের বাইরে আসলে একই এলাকার শাকিল হাওলাদার ও আলআমিনসহ ৪ জন তাকে মুখ বেধে কাছিপাড়া আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া ডিগ্রী কলেজের কাছে ও স্থানীয় মিজান মীরের বাড়ির দক্ষিন পাশে একটি ফসলী জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা তার হাত বেধে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে শাকিল হাওলাদার তার বাম হাতের কবজিতে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয় বিজলী আক্তার নামের এক নারী তাকে ওই অবস্থা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে কয়েক ব্যক্তি এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। যে কারণে ভয়ে তিনি ঘটনাটি কারো কাছে প্রকাশ করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, বিজলী নামের এক মহিলার ডাক চিৎকার শুনে আমরা ৫-৬ জন লোক তার কাছে যাই এবং তাকে হাত ও মুখ বাধা অবস্থায় দেখতে পাই। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে অনেক লোক ভীড় জমায়। আমরা তার মুখ ও হাতের বাধন খোলার সময় কেউ কেউ মোবাইলে এ দৃশ্য ভিডিও করেন। ওই গৃহবধূ আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। পরে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি জানার পরে আমি সহযোগি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং গৃহবধূ আফিপাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। আমি তার সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, তাকে মুখ ও হাত বেধে মারধরসহ পাশবিক নির্যাতেনের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।