চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শুকলাল শীলকে ৪শ মিলিমিটার মদ দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। পরিষদের প্যাডে সভাপতি তাপস হোড় ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন এবং সার্জেন্ট ট্রাফিক শাহেদ ইকবালের বিচার বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানান।
শুকলাল শীল দাবি করেন, তার থেকে কোন প্রকার মদ উদ্ধার করেন নাই। মদ থাকলেই তো উদ্ধার করবে। এগুলো সব সার্জেন্ট সাহেব ইকবাল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করেছে। যখন আমার গাড়ি প্রতিরোধ করেছিল। তখন সার্জেন্ট সাহেবের সাথে সিভিল পোশাকে আরো দুইজন লোক ছিলেন। তাদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলেন। আসলে তারা কারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাদের কথামতো ছবি না তুললে, আমাকে আরো বড় ধরনের ক্ষতি করবেন বলে ছবি তুলতে রাজি হয়েছিলাম। আমার দুই পাশে দুই কনস্টেবল দিয়ে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রচার করাটা কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়? আমাকে মামলায় ফাঁসানো এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।পকেট থেকে উদ্ধারকৃত মদের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন শুকলাল শীল। তার কাছে কোন মদ ছিল না।
তবে পুলিশ বলছে, ঘটনার দিন মদ নিজের (শুকলাল শীলের) বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। যা তিনি সেবন করেন এবং সেবন করার জন্য রেখেছিলেন।পরক্ষণে পারমিট আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন তার কাছে। তিনি পারমিট নেই বলে উল্লেখ করেছিলেন। পুলিশের কাছে মদ নিজের (শুকলাল শীলের) বলে স্বীকার করে নেওয়ার ভিডিও ক্লিপ রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ মার্চ) তার প্রাডো গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে (চট্টমেট্রো-ঘ-১১-০৭০৫) ৪শ মিলিমিটার চোলাই মদ উদ্ধার উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।