লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ফের শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। দেড় মাসের ব্যবধানে আবারও শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সাধারণ শ্রমিকেরা। এতে গত মঙ্গলবার দুপুরে একটা থেকে বুধবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সকল প্রকার পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ ছিল।
শ্রমিকরা জানায়, সর্দারদের নের্তৃত্বে পরিচালিত বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিপরীতে সাধারণ শ্রমিকরা বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সমিতি নামে একটি সংগঠন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গঠন করে।
এতে সর্দাররা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে বেশ কয়েকজন সাধারণ শ্রমিকদের শ্রমিক পরিচয়পত্র কেড়ে নেয় ও হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিচারের দাবিতে সাধারণ শ্রমিকেরা ওইদিন (মঙ্গলবার) দুপুর থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানিকৃত গাড়ি থেকে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ রাখে। এতে আজ বুধবার পর্যন্ত পুরো বুড়িমারী স্থলবন্দরের মাঠে ও আশপাশের সড়কে শত শত পণ্যবাহী গাড়ি লোড-আনলোডের অপেক্ষায় পড়ে থাকে।
এ ঘটনায় বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর ২টায় বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের লোড-আনলোড কার্যালয়ের পাশে লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ, পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম মিঠু, বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সফর উদ্দিন, বুড়িমারী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বিকেল ৩ টায় কাজে ফিরে যায়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিক সর্দার ও সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে সংগঠন করা নিয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। বুধবার দুপুরে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে সাধারণ শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুনেছি, বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিক সর্দারদের সাথে সাধারণ শ্রমিকদের অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে লোড-আনলোড বন্ধ রাখে শ্রমিকরা। এতে প্রায় ৫ শতাধিক গাড়ির জট লাগে।
এআরএস