লামায় চুরির অপবাদে মা-ছেলেকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

বিপ্লব দাশ, লামা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০২:৩৫ পিএম

বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে চুরির অপবাদে এক শিশু ও তার মাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আজিজ নগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নির্যাতিতদের হাসপাতালে ভর্তি করালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নির্যাতনের শিকার মো.সেলিম (৯) ও তার মা সেলিনা আক্তার (৩০) লামা আজিজ নগর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড আশ্রাফ পাড়া এলাকার মো. মোরশেদের  ছেলে এবং স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশু সেলিমকে  চেয়ারম্যান আজিজের   বাসায় কাজ করার পাশাপাশি স্কুলে পড়ালেখা করানোর কথা বলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান। গত ২৫ মার্চ   চেয়ারম্যানের বাসায়  স্বর্ণ চুরির অভিযোগে সেলমকে আটকে রেখে তার পরিবারকে খবর দেয়।সেলিমের মা ও বাবা ছেলেকে নিতে চেয়ারম্যানের বাসায় গেলে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে তাদের রুম বন্ধ করে অমানুষিক নির্যাতন চালায় তাদের উপর এবং শিশু সেলিমকে আটকে রাখে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে  পুলিশ শিশু সেলিমকে চেয়ারম্যানের বাড়ি হতে উদ্ধার করে।

এনিয়ে (২৭ মার্চ) রাতে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ  মিছিলও করে।

সেলিমের বাবা মো.মোরশেদ জানান, স্কুলে পড়ানোর  কথা বলে ছেলেকে চেয়ারম্যানের বাসায় কাজ করার জন্য নিয়ে যায়।কিন্তু তাকে কখনোই স্কুলে যেতে দেয়নি। এছাড়া গত ২৫ মার্চ  চেয়ারম্যানের স্ত্রী ফোন দিয়ে বলে তার ছেলে স্বর্ণ চুরি করেছে তাই তাকে আটকে রাখা হয়েছে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে।ছেলেকে নিতে তাদের বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে, নির্যাতনের শিকার মোরশেদ, তার স্ত্রী এবং ছেলেকে  অমানুষিক ভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে ছেলে মো.সেলিমকে আটককে রেখে তিন লাখ টাকা বা জায়গার কাগজ দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেন।পরে উপায় অন্ত না দেখে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে  পুলিশ চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে। বাসায় আসার পরে ছেলে ও তার মার নাক ও  মূখ দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এবিষয়ে  আজিজ নগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, উদ্দেশ্য মূলক ভাবে একটি কুচক্রী মহল এঘটনা ঘটাচ্ছে।

লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৯৯৯ এ অভিযোগের ভিত্তিতে আজিজ নগর চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরএস