অভাবের তাড়নায় না খেয়েও মাঝে মাঝে দিন চলে প্রতিবন্ধী সুমায়ার।বলছি, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামে বদিউল ইসলাম এর পরিবারের কথা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বদিউল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে সুমাইয়া জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। জম্ন থেকেই দুই হাত বিকলাঙ্গ ও সাথে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় পায়ের উপর নির্ভর করে চলে তার সকল কার্যক্রমে।
এমনকি খাবার পর্যন্ত পায়ের মাধ্যমে খেতে হয়। শুধু বিকলাঙ্গ নয় সে সাথে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও বোঁবা হওয়াতে একেবারেই নিস্তব্ধ হয়ে গেছে তার পরিবার। পরিবারের চার সদস্যের মধ্যে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলো তার পিতা সেও একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বদিউলকে প্রতিবেশীরা কাজের মাধ্যমে অল্প কিছু প্রারিশ্রমিক দিলেও অভাবের তাড়নায় কোনদিন খেয়ে থাকে আবার কোনদিন না খেয়ে থাকে। পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে খুব কষ্টে দিন চলছে তার পরিবারের। অভাব যেন কোনমতেই পিছু ছাড়ছে না। দুই মুঠো খাবারের জন্য অন্যের পানে তাকিয়ে থাকতে হয় তাদের। বাসস্থান হিসেবে জরাজীর্ণ মাটির একটি কক্ষে চার সদস্যের পরিবার বসবাস করে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় অনেক নিউজ করার পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিবন্ধী সুমাইয়ার সামান্য কিছু ভাতা পেলেও অভাব যেন পিছু ছাড়ছে না তার পরিবারের।যেভাবে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি হয়েছে সেই হিসাবে প্রতিদিনই ক্ষুধার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের ।এমতঅবস্থায় সমাজের বৃত্তশালীরা যদি তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং সরকার যদি তার পিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বদিউল ইসলাম এর ভাতার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে হয়তো চার সদস্যের পরিবারে দুই মুঠো খাবার খেয়ে বাঁচতে পারবে কোন মতে।
আরএস