বান্দরবানে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে চলছে স্থাপনা নির্মাণ। এ যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখলে।
সরজমিনে দেখা যায়, সুয়ালক ইউপির লম্বা রাস্তা এলাকায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছে মো. সেলিম নামে এক ব্যাক্তি।সম্প্রতি বনবিভাগের চেকপোষ্ট সংলগ্ন আরলিং ছড়ার উত্তরে ও কেরানীহাট মহা সড়কের দক্ষিণে প্রায় ১০ ফুট দুরত্বে মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ঘর যেখানে ৫ জন নির্মাণ শ্রমিক কাজে নিয়োজিত। যার পশ্চিমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা ও পূর্বে বনবিভাগের চেক পোষ্ট।শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে ঘরটি স্থানীয় মাঝের পাড়া বাজার এলাকার ঔষধ ও গাছ ব্যাবসায়ী নূর মোহাম্মদের বলে জানান।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নূর মোহাম্মদ ও তার বোন, বান্দরবান -কেরানীহাট মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে সুয়ালক বন বিভাগের চেক পোস্ট সংলগ্ন সওজ`র জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন।এনিয়ে বান্দরবান সওজ`র কতৃপক্ষকে কয়েকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে কিন্তু তারা কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।এবার অস্থায়ী স্থাপনার পাশাপাশি পাকা দালান নির্মান করছেন।এনিয়ে পুনরায় মৌখিক অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোন প্রকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
স্থানীয় ব্যক্তি আব্দুল হাকিম বলেন, যতটুকু জনি আরলিং ছড়ার উত্তর দিকে কিছু যায়গা ছিল। ছড়া গর্ভে তাদের জায়গা বিলিন হয়ে যাওয়ায় সে এখন সড়কের পাশে সওজ`র জায়গা নিজের বলে দাবি করে ঘর নির্মাণ করছে।কয়েকবার সওজ`র কর্মকর্তারা এসে তাদের নিষেধ করলেও কোন এক অদৃশ্য পেশি শক্তির জোরে এই সব বাঁধা তোয়াক্ষা নাকরে পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে।
সুয়ালক বন বিভাগের চেক পোষ্টের কর্মরত অংছাই মারমা বলেন, ঘর নির্মাণ করার প্রথম পর্যায়ে আগেও সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা এসে ভেঙ্গে দিয়েছিল। এবং বাড়ি স্থাপন না করতে একাধিকবার বাঁধা প্রদান করেছি। তারপরও চলছে ভবন নির্মাণের কাজ।
অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জায়গাটি পৈতৃক জমি দাবি করে তিনি জানান, ৩০ শতক জায়গা তার বাবা ইমান আলীর নামে বন্দোবস্তি আছে। যার চৌহদ্দি উত্তরে আরলিং ছড়া, দক্ষিণে কুদ্দুস মিয়ার জমি,পূর্বে ছড়া, পশ্চিমে রাস্তা।সেই অনুযায়ী ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
সওজ`র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে কয়েকবার তাদের নিষেধ করে নোটিশ ও ভেঙ্গেও দেওয়া হয়েছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরএস