নিকলীতে গৃহবধূ হত্যার দায় স্বীকার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম

কিশোরগঞ্জের নিকলীর একটি আবাসিক হোটেলে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক হুমায়ুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

কিশোরগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়েছে।

জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে হুমায়ুন (২৯) ও একই উপজেলার চরকাউনা এলাকার মোতালিব হোসেনের স্ত্রী তামান্না (২২) গত ২৫ মার্চ থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী সদরের শিমুল কমপ্লেক্স ভবনের একাংশ হাওর প্যারাডাইস নামে আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন বলে ওসি জানিয়েছেন। বিবাহিত হুমায়ুন কুলিয়ারচরের পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করেন আর তামান্না কুলিয়ারচরের পশ্চিম জগৎচর গ্রামের অহিদ মিয়ার মেয়ে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর সূত্র ধরেই হুমায়ুন তার স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে তামান্নাকে নিয়ে নিকলীর ওই হোটেলে উঠেছিলেন।

বুধবার দুপুরের দিকে হোটেলকর্মী শায়লা আক্তার ও হুমায়ুন গৃহবধূ তামান্নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় পান। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় তামান্নার বাবা বাদী হয়ে হুমায়ুনকে আসামি করে নিকলী থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিকলী থানার ওসি মনসুর আলী আরিফ।বৃহস্পতিবার হুমায়ুনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি বিচারকের কাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তামান্নাকে হত্যার বিবরণ দিয়েছেন বলে জানান ওসি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।তামান্নার স্বামী মোতালেব হোসেন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এখন বাড়িতেই থাকেন বলে তামান্নার বাবা অহিদ মিয়া জানিয়েছেন।

আরএস