নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিলজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী (ছদ্মনাম) রুমা আক্তার (১১) টিকটক ভিডিও করতে রাজি না হওয়ায় মো. হাকিম (১৮)নামে এক বখাটে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামনেই শিক্ষার্থী কে উত্ত্যক্ত করে।
মো. হাকিম পানিশানা (পূর্বপাড়া)গ্রামের মৃত. আব্দুল মিয়ার ছেলে। এর পূর্বে প্রতিনিয়তই বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে পথরোধ করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এবং ছবি তোলে টিকটক করার জন্য উত্ত্যক্ত করে আসছে।
গত (৩০ মার্চ) বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ২ টার দিকে ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী স্কুল থেকে বাড়িতে আসার সময় প্রতিদিনের নেয় স্কুলের কাছে রাস্তায় উৎপেতে বসে থাকে এবং ছবি তোলার চেষ্টা করে। এসময় রুমা আক্তার বাঁধা দেওয়ায় তার দিকে রাগান্বিত হয় বখাটে হাকিম।
শিক্ষক সহ এলাকাবাসী কয়েক জন বাঁধা দিলেও মানতে নারাজ বখাটে হাকিম। ঐ শিক্ষার্থীর বাবা মো. নিজাম উদ্দিন (৫৫) এসময় ফসলি জমিতে কাজ করতে থাকা অবস্হায় দেখতে পায় ছোঠে এসে বাঁধা দিলে হাকিম সহ তার তিন ভাই নিজাম উদ্দিনের উপর রাগান্বিত হয়ে হামলা করে এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয় ও নাকে আঘাত পায়। আহত নিজাম উদ্দিন কে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিলজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে পূর্বধলায় ছিলাম, আমার স্কুলের সহকারীরা আমাকে ফোনে জানায় স্কুলের মাঠে দুই পক্ষ ঝগড়াঝাটি হচ্ছে, পরে শিক্ষার্থীর বাবাকে পূর্বধলা হাসপাতালে নিয়ে গেছে এই কথা শুনে হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীর বাবাকে দেখে আসি ও আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি।
শিক্ষার্থীর বাবা আকুতি করে বলেন, আমি হাসপাতালে ভর্তি বখাটে হাকিম ও তার ভাইয়েরা আমার মেয়ের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। বাংলাদেশের সব ছেলেমেয়েরা যদি লেখাপড়া করে, আমার একটা মেয়ে তার লেখাপড়া না করলে দেশের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। চেয়েছিলাম লেখাপড়া করানোর জন্য, তা যখন আর হলো না কি করব আর। অসহায় গরিব মানুষ, গরিবের আসলে কোন বিচার নাই, লেখা পড়াও মনে হয় নাই দেখি বিচারের আশায় পূর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি)তদন্ত মাসুদ হাওলাদার বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি এস আই আলাল উদ্দিন কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরএস