নান্দাইলে ওয়ারেন্টভূক্ত মাদ্রাসার সুপারকে বহিষ্কারের দাবীতে মানববন্ধন

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে চপই দাখিল মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশীদকে বহিষ্কারের দাবীতে মাদ্রাসার অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের চপই দাখিল মাদ্রাসার সামনে চপই বাজারে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী চপই দাখিল মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশীদ কর্তৃক অত্যাচার, নির্যাতন ও বিভিন্ন অপকর্মের কারনে অত্র সুপারকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ তাকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছে মানববন্ধনকারীগণ। 

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ছিনু মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল, আবু তাহের, দুলাল মিয়া, খলিলুর রহমান,আজিম উদ্দিন খান কিরন প্রমুখ। এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী লতিবপুর গ্রামে মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র খলিলুর রহমান জানান, মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদ তার ছেলেকে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস চাকুরী খাটিয়েছে। 

পরে  ২০২২ সনে মাদ্রাসাটি এমপিও ভূক্ত হলে চাকুরী স্থায়ী করনের কথা বলে  খলিলুর রহমানের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েও চাকুরী না দিয়ে  মাদ্রাসার সুপার তাঁর আপনজনকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকুরী দিয়েছেন। এলাকার আ. বারিকের পুত্র জুয়েল জানান, অত্র মাদ্রাসার সুপার এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামার সাথে জড়িত থাকার ফলে তার বিরুদ্ধে ২৬ এর মামলা রয়েছে এবং সে ওই মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী।

নান্দাইল মডেল থানার মামলা নং ৪/২০২৩। এছাড়া মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, সরকারি বই বিক্রির অভিযোগসহ নানা অনিয়ম-দূর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়। এপর্যন্ত মাদ্রাসাটিতে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড না থাকার বিষয়টিও নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের প্রশ্ন তুলেন অভিভাবকরা। 

এছাড়া ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হয়ে সে কিভাবে ঘুরে বেড়ায় তা তাদের বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুবেল এর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে একজন ফোন করে জানিয়েছে যে মাদ্রাসার সুপার জামিনে আছে। এ কথা বলে ফোন কল কেটে দেন।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, আজ আমি জামিনে আছি। 

এমএইচআর