বরগুনার তালতলীতে মেয়ের নুপুরের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে মা সুফিয়া বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর বুধবার বিকেলে খাল থেকে তার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। সুফিয়া বেগম ওই ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের আলম বয়াতীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের সুফিয়া বেগম গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে ছোট মেয়ে নুপুর তৈরির টাকা সংগ্রহ করতে ঘর থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। গত দুই দিন যাবৎ স্বজনেরা তাকে খুঁজে পায়নি। বুধবার বিকাল তিনটার দিকে নিখোঁজ সুফিয়া বেগমের ছেলে এরশাদ বয়াতি ডালিরখালে মায়ের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্য মামলা হয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে এরশাদ বয়াতি বলেন, সোমবার রাত ৯ টার দিকে মা আমার ছোট বোন আজমাইনের জন্য একজোড়া নুপুর তৈরির টাকা সংগ্রহ করতে ঘর থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়ীতে ফিরেনি। বুধবার দুপুরের দিকে ডালিরখালে মায়ের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেই। তিনি আরো বলেন, মায়ের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের স্বামী সোনা মিয়া ও তার সহযোগীদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। আমার সন্দেহ পরিকল্পিতভাবে তারাই আমার মাকে হত্যা করে খালে ফেলে রেখেছে।
এ বিষয়ে সোনা মিয়ার সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ডালিরখাল থেকে সুফিয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনার আসল রহস্য বুঝা যাবে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরএস