শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় সীমান্ত বাজার স্থাপনের বিষয়ে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তাঞ্চল আন্ধারুপাড়া খলচান্দা গ্রামের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় উভয় দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার এবং ভারতের পক্ষে তোরা জেলার গারো হিলস এর ডেপুটি কমিশনার শ্রী জগদীশ চেলানী আইএএস নেতৃত্ব দিয়েছেন।এ সময় উভয় দেশের বিজিবি, বিএসএফ, পুলিশ সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নালিতাবাড়ী খলচান্দার এই জায়গায় বর্ডার হাট স্থাপনের ব্যাপারে উভয় দেশের প্রতিনিধি দল আগ্রহ প্রকাশ করেন
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। বৈঠকের ফলপ্রসু আলোচনার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানোর পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন- এডিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল, বিজিবি’র এসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টর(এডি) নাসির উদ্দীন, সহকারী কমিশনার(ভুমি) ঈফ্ফাত জাহান তুলি, নাকুগাঁও স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গারো হিলস এর ১০০ বি.এন, বিএসএফ কমান্ডেন্ট শ্রী অজয় কুমার তিওয়ারী, ডেপুটি কমিশনার রেভিনিউ শ্রী ডিবিজি মমিন, তোরা গারো হিলস এর পুলিশের সুপারিন্টেডেন্ট সুচিয়াং এমপিএস, অ্যাসিস্টেন্ড কমিশনার শ্রী সুমিত কুমার সিং উপস্থিত ছিলেন।
সীমান্ত বাজার স্থাপনে উভয় দেশের স্থানীয় জনগণ বেশ উৎসুক ও আশাবাদী ।
এর আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে যৌথভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোড়দার ও পরিচালনা করার জন্য সরকার সীমান্ত বাজার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বর্ডার হাট স্থাপনের প্র¯তাবনা দেওয়া হলেও ভারতের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়।
পরবর্তীতে নতুন করে ভারতের পক্ষ থেকে নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী এলাকার সীমাšতবর্তী আন্ধারুপাড়া খলচান্দা গ্রামের জিরো পয়েন্ট সীমান্ত পিলার ১১১২ (টু এস) ও ১১১২ (৩ এস) এলাকায় বর্ডার হাট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ২৮ মার্চ দুপুরে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ওইস্থান পরিদর্শন করেন। ৫ এপ্রিল দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যৌথভাবে পরিদর্শন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আরএস