গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ২০২১- ২২ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্ননয় প্রকল্প (টিআর কাবিখা) দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩ শত ৩৩ নগদ টাকার বিনিময়ে ৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা।
এ প্রকল্পের আওতায় দামোদরপুর ইউনিয়নের কিসামত বড়বাড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধী জায়েদ আলীকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
প্রতিবন্ধী জায়েদ আলীর ঘরের প্রয়োজন। তাই সে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিকট ধর্না দিয়ে আসছিলো দীর্ঘ দিন থেকে। কিন্তু সে জানেনা গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের মাননীয় সংসদের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে যে ৮৮ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে সেই তালিকায় জায়েদ আলীর নামও রয়েছে।
কাগজ কলমে তার জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে বাস্তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। জায়েদ আলীর গৃহ নির্মাণের জন্য যে অর্থ মাননীয় সংসদ সদস্য দিয়ে ছিলো, সেই অর্থই বা গেলো কোথায়? সম্প্রতি এমন আলোচনা সমালোচনার মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জায়েদ আলীর বাড়িতে গৃহ নির্মান কাজ শুরু করেছে।
সেই নির্মাণাধীন ঘরের চালে লাগানো হয়েছে ত্রানের টিন ও বেড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে বাজারের ক্রয় করা টিন। এখনও সম্পন্ন হয়নি পুরো গৃহ নির্মাণের কাজ। ত্রানের টিন দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (টি আর কাবিখা) ২ পর্যায়ের ঘর নির্মাণ করা যাবে কিনা?
একাধিক প্রশ্নের উত্তর এরিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রতিবেদকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম মুঠোফোনে বলেন, এটি এমপি স্যারের বরাদ্দের প্রকল্প।
বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভালো জানেন। আপনি প্রয়োজনে এমপি মহাদয়ের নিকট বিস্তারিত জানতে পারেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম অত্যন্ত ধুরন্ধর।
তার দ্বারা বাস্তবায়িত একাধিক প্রকল্পে নয় ছয়ের সত্যতা মিললেও, অদূশ্য খুটির জোরের কারণে, প্রশাসনিক ব্যবস্হা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
এমএইচআর