মাগুরায় জমেনি ঈদের কেনাকাটা, হতাশ ব্যবসায়ীরা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০২:৫২ পিএম

মাগুরায় এখনও জমেনি ঈদের কেনাকাটা। পবিত্র মাহে রমজান মাসের আজ আঠারো রোজা চলছে। আসন্ন ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ডিজাইনের দেশীয় জামা-কাপড়, কসমেটিকস, জুতায় ভরে গেছে আউটলেটগুলো। 

তবে এখনও উৎসবকে কেন্দ্র করে নতুন পোশাক রূপসজ্জাসহ মালামাল কেনার তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি ক্রেতাদের মাঝে । দোকানে বসে ক্রেতার আশায় অলস সময় পার করছেন মাগুরা জেলা শহরসহ চারটি উপজেলার বিক্রেতারা।

সোমবার (১০ এপ্রিল) সরেজমিনে, মাগুরার ছোট-বড় দোকানগুলোতে ঈদ কেনাকাটা এখনো জমে উঠেনি। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানে নানান পন্যসামগ্রিই, তাদের দাবি ২০ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রি বাড়বে। 

তবে, এই বছর সব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে শঙ্কায় রয়েছেন বিক্রেতারা। এরই মধ্যে অনেক ক্রেতাই আগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে চান। মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ি-পাঞ্জাবি মূল আকর্ষণ হলেও এসব হাউসে থাকছে ছেলেদের ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট এবং মেয়েদের সেলোয়ার-কামিজ, ওয়ান-পিস, টু-পিস,টপস্, কাফতান। 

এছাড়া আছে বাচ্চাদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট, স্কার্ট, ফ্রক, সেলোয়ার-কামিজ, শাড়িসহ উন্নত মানের কসমেটিক প্রসাধনীসহ নানান ডিজাইনের চুড়ি। 

ফতুয়া ৯০০  থেকে দেড় হাজার টাকা। শাড়ি বা থ্রি-পিছ দাম হাঁকা হচ্ছে এক হাজার ৪০০ থেকে ২০ হাজার টাকা। জামদানি, মসলিনের কাপড়ে ডিজাইন করা শাড়িগুলোরই দাম বেশি। এ বছর সকল পণ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা। 

২০রোজার পরে বেচা-বিক্রি বেশি হওয়ার আশা করছেন বিক্রেতারা। অনেক ক্রেতা জানালেন, এবারের ঈদে পণ্যের দাম ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি হওয়ায় পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এরপরও পরিবারের সব সদস্যদের খুশি রাখতে করছেন ঈদ কেনাকাটা।

এমএইচআর