এতিম ছাত্রদের লেপ-তোষকের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ০৩:৩৫ পিএম

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলহাজ্ব রহমাতিয়া স্মৃতি শিশু সদন ও এতিমখানার ছাত্রদের আসবাবপত্র লেপ, তোষক কেটে ছিড়ে রেখে গেছে দুবৃর্ত্তরা। 

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী টাউন মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে ফাঁকা মাদরাসায় তাণ্ডব চালায় তারা। 

ঘন্টাব্যাপি তাণ্ডবে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পোশাক, ল্যাপ, তোষক, ট্রাংক, দুটি ফ্যান, সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এমনকি শিশুদের পোশাক ও বিছানা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রেখে গেছে তারা। 

এদিকে খবর শুনেই রাতেই অভিভাবক ও স্থানীয়রা মাদরাসায় জড়ো হন। অনেকে তাদের শিশুদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।

মাদরাসার হেফজখানার দায়িত্বে থাকা হাফেজ মাওলানা মো. সোয়াইব খান বলেন, অন্যান্য দিনের মত রাতে এতিম শিশুদের নিয়ে তারাবি পড়তে গেছিলাম। এসে দেখি সব শেষ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সব কিছু কুপিয়ে রেখে গেছে। বুঝতে পারছি না, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা ঘটিয়েছে আমরা তাদের বিচার চাই। 

মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার হাওলাদার বলেন, মাদরাসার জমি ও কমিটি নিয়ে কারও সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। কোন শত্রুও নেই মাদরাসার। তারপরও কেন হামলার ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। 

আমরা শিক্ষক ও কমিটির সকলকে নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। সবার সম্মতিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহনের কথা জানান তিনি।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। আলহাজ্ব রহমাতিয়া স্মৃতি শিশু সদন ও এতিমখানায় হেফজ বিভাগে ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন এতিম শিশু মাদরাসায় আবাসিকভাবে থাকেন।

এমএইচআর