উলিপুরে কৃষকের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিচ্ছে নেক-ব্লাস্ট ভাইরাস

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ০২:৩৩ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বোরো ধান ক্ষেতে নেক-ব্লাস্ট ছত্রাক রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কৃষকের স্বপ্নও পুড়তে শুরু করেছে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের বাম্পার ফলনের আশা দূর আশায় পরিনত হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত শত শত বিঘা জমির ধান পাঁকা রং ধারন করে পড়ে আছে সবুজ চত্বরে কাটছে না কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা জানায়, ২০ শতক জমির ধান কেটে এক মন ধান ও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিপযয়ের্র আশংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ১৩ টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ২থশ ৯৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উফশী ১৪ হাজার ১থশ ৫০ হেক্টর, বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ৮ হাজার ১০ হেক্টর এবং স্থানীয় ১থশ ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিস জানায়, সাড়ে ৩ হেক্টর ব্রি-২৮ জাতের ধান ক্ষেতে নেক-ব্লাস্ট ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাস্তবে অনেক গুন বেশি। শীষের গোড়া পঁচে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া ও বাতাসের মাধ্যমে এ ছত্রাকটি দ্রুত এক ক্ষেত থেকে আরেক ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ছে।

ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে স্টেনজা, দিপা ট্রপার, সেলটিমা, ডায়মেনশন, অথবা জিটাভো পানিতে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করা সহ জমিতে পানি ধরে রাখা, ধানের শীষ বের হওয়ার আগে ও পরে ২ বার স্প্রে করা ও ধানের শীষ বের হলে বিকালে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ধান ক্ষেত ব্লাস্ট রোগাক্রান্ত হয়েছে কৃষকরা কাটছে না। দুর থেকে দেখে মনে হবে ধান পেঁকেছে কিন্তু বাস্থবে ধান গুলো ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়ে গেছে। ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ মধুপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ কৃষক জানান, রোগাক্রান্ত জমিতে ধান নেই সম্পন্ন চিটা হয়ে গেছে। কেটে কি লাভ। উলিপুর পৌরসভার নারিকেল বাড়ি সন্যাসীতলা গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, তার এক বিঘা জমির ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নারিকেল বাড়ি আগপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ১০ শতক জমির ধান নেক-ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়ে গেছে। তারা জানালেন গত বছরো একই ভাইরাসে শত শত হেক্টর জমির ধান পুড়ে গেছে এবারো তাই‍‍`ই হবে। অনেকেই সর্বশান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। খাদ্য সংকটও দেখা দেয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, রোগ প্রতিরোধে ছত্রাক নাশক অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

আরএস