সর্বোচ্চ ৪২.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, বেড়েছে লোডশেডিং

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম

চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। আজ এই জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আরও কয়েকদিন এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চুয়াডাঙ্গা দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম। এ কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হচ্ছে। লেবুর শরবত ও স্যালাইন খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হিট স্ট্রোক ও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান।

গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ছে। তীব্র গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান বলেন, টানা ১৪ দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর সারা দেশের আপডেট জানা যাবে। ঈদের আগে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শহর, গ্রাম-গঞ্জে সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর শরবত, পানি ও ফলমূল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরএস